তেঁতুলিয়া উপজেলার উল্লেখযোগ্য দর্শণীয় স্থানগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
ক. সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগানঃ
তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাম্প্রতিকালে সমতল ভূমিতে চা গাছেরচাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।সাধারণতঃ উচুঁ ভূমিতে চা চাষ হয়ে থাকে। কিন্তুসমতল ভূমিতে এর চাষাবাদ বাংলাশের এ এলাকাতেই প্রথম শুরু হয়। অর্থনৈতিকভাবেএর ভবিষ্য সম্ভাবনা খূবই উজ্জ্বল।
খ. তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলোঃ
ডাক-বাংলোটি জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত। এর পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলাপরিষদ কর্তৃক নির্মিত একটি পিকনিক কর্ণার রয়েছে। উক্ত স্থান দুইটি পাশাপাশিঅবস্থিত হওয়ায় সৌন্দর্য বর্ধনের বেশী ভূমিকা পালন করছে। সৌন্দর্য বর্ধনে এস্থান দুটির সম্পর্ক যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। মহানন্দা নদীর তীর ঘেঁষাভারতের সীমান্ত সংলগ্ন (অর্থাৎনদী পার হলেই ভারত) সুউচ্চ গড়ের উপর সাধারণভূমি হতে প্রায় ১৫ হতে ২০ মিটার উচুতে ডাক-বাংলো এবং পিকনিক কর্ণারঅবস্থিত।
গ. তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার
এ স্থান হতে হেমন্ত ও শীতকালে কাঞ্চন জংঘার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।বর্ষাকালে মহানন্দা নদীতে পানি থাকলে এর দৃশ্য আরও বেশী মনোরম হয়।শীতকালে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অনেক দেশী- বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে।
ঘ. বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর:
হিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। এই উপজেলার১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশ মানচিত্রের সর্বউত্তরের স্থানবাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর। এই স্থানে মহানন্দানদীর তীর ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ১০.০০ একর জমিতে ১৯৯৭ সালেনির্মিত হয় বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর, যা আজও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু সম্ভব হয়নি।নেপালের সাথে বাংলাদেশর পণ্য বিনিময়ও সম্পাদিত হয় বাংলাবান্ধা জিরো (০)পয়েন্টে।
ঙ. কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট (জেমকন লি.) এর আনন্দ ধারা, আনন্দ পাহাড়:
তেঁতুলিয়াউপজেলার ৮/১০ কি. মি. দূরে শালবাহান ইউনিয়ের রওশনপুর এলাকায় সুনিবিরপরিবেশে গড়ে উঠেছে মনোরম অবকাশ যাপন স্পট। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান হতেহাজারো প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকের বেড়াতে আসেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS